বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির গল্প এখন শুধু বাঙালির কাছেই নয়, সারা বিশ্বেই কৌতূহলের বিষয়। তারা জানতে চায়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী এমন ঘটেছে, যার ফলে বিশ্বমন্দার মধ্যেও দেশটি গত এক দশক ধরে গড়ে ছয় শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। জিডিপির ভিত্তিতে দেশের স্থান এখন বিশ্বে ৪৫তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩৩তম। ‘গ্যালপ’-এর মতে পৃথিবীর সবচেয়ে আশাবাদী জাতি এখন বাংলাদেশ এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিচারে অবস্থান দ্বিতীয়। এ ক্ষেত্রে আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছি। শিশু মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ জাতিসংঘ পুরস্কার অর্জন করেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরাম আয়োজিত ‘জীবনের কথা, অর্থনীতির কথা’ শীর্ষক গণবক্তৃতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এসব কথা বলেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলেছে পুরোপুরি মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার দৃঢ়প্রত্যয়ে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ গৌরব অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উঠে এসেছে সাবলীলতার আঙিনায়। এটিই আমাদের অর্থনীতির বড় গল্প।
দেশের সব সূচকে স্থিতিশীলতা আছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘বতর্মান সময়ে আমদানি, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মাথাপিছু আয় বাড়ছে। ধারাবাহিকভাবে কমেছে মূল্যস্ফীতির হারও।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন শুভর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আরিফ হাসনাত।
এ ছাড়া গভর্নর এ দিন ভদ্রা এলাকায় অবস্থিত প্রাকৃতিক হিমাগার পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply